জোড়া পন্টুন স্থাপন, শীঘ্রই চালু হচ্ছে রো-রো ফেরি
চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি রুটে দিনদিন যানবাহনের চাপ বেড়েই চলছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২২টি জেলার সড়কপথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি রুট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কারনে দিনদিন এ রুটে গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে ৬টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ২শ’ ৫০ থেকে ৩শ’টি হালকা ও ভারী যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। নিয়মিত ফেরিগুলোর ধারণ ক্ষমতা ও গতিকম হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে মেঘনার প্রবল স্রোতের বিপরীতে পাল্লা দিয়ে ফেরি চলাচল অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অধিক সময় লেগে যাওয়ায় প্রায়ই ঘাটের উভয় তীরে অপেক্ষমান যানবাহনের দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
যানবাহন পারাপার সচল ও স্বাভাবিক রাখতে বিআইডবিøটিএ কর্তৃপক্ষ গত ২ বছর পূর্বে রো-রো ফেরি চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে ঐ সময় সেটি চালু করা সম্ভব হয়নি। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে পুনরায় চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়। তারই অংশ হিসেবে গত কিছুদিন পূর্বে ফেরিঘাটের উভয় তীরে দু’টি পল্টুন একত্রে করে জোড়া পল্টুন স্থাপন করা হয়। এর ফলে ফ্রিতে দু’টি গাড়ি পাশাপাশি উঠা-নামা করতে পারবে। সবকিছু অনুক‚লে থাকলে আগামী দু’ মাসের মধ্যে দু’টি রো-রো ফেরি নিয়মিত যানবাহন পারাপারের জন্য সংযোজন করা হবে। পাশাপাশি বর্তমান ফেরিগুলো চলাচল করবে।
এ বিষয়ে হরিণা ফেরিঘাটের ম্যানেজার ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী জানান, এ রুটে যানবাহনের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এতে করে সরকারের রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। যানবাহন পারাপারে গতি বৃদ্ধি করতে বিআইডবিøউটিএ রো-রো ফেরি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত সপ্তাহে এ রুটে একটি রো-রো ফেরি দু’দিন পরীক্ষামূলক চালানো হয়েছে। নিয়মিত রো রো ফেরি চলাচলের জন্য টেকনিক্যাল কিছু কাজ বাকি রয়েছে। সেসব কাজ সম্পন্ন হলে শীঘ্রই রো-রো ফেরি নিয়মিত চলাচল করবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী দু’ মাসের মধ্যেই রো-রো ফেরি চলাচল শুরু করার সম্ভাবনা খুবই বেশি। রো-রো ফেরি চালু হলে যানবাহন গুলোকে দিনের-পর-দিন ফেরি ঘাটে অপেক্ষা করতে হবে না।
Post a Comment