চাঁদপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিনব্যাপী কর্মসূচি সম্পন্ন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২১ উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল ১৭ মার্চ বুধবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।
তিনি প্রথমেই জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের শ্বাশুড়ির মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বলেন, জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সকালের শুরুতেই পুষ্পস্তবক অর্পণ করে আমরা বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলাম। এছাড়াও আমরা দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করেছি। তবে এরমধ্যে সবচাইতে নতুনত্ব এবং অন্যরকম একটি কর্মসূচি দিনের প্রথম নবজাতককে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকী উপহার প্রদান। জেলা প্রশাসক বলেছিলেন, এ দিনে যে শিশু সন্তান জন্মগ্রহণ করবে, সে যদি মেয়ে সন্তান হয় তাহলে তার নাম বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণীর নাম রেনু, আর যদি ছেলে সন্তান হয় তাহরে তার নাম যেনো খোকা রাখা হয়। তারই সূত্র ধরে আজকের নবজাতক ছেলে সন্তানের নাম রাখা হয় ‘খোকা’।
তিনি উপস্থিত শিশুদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে জানতে হবে এবং তার আদর্শ বুকে লালন করতে হবে। তার আদর্শ পথ অনুসরণ করে এদেশকে একদিন নেতৃত্ব দিবে।
সাংবাদিক এম আর ইসলাম বাবু’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার কাজী আব্দুর রহিম, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাশ, চাঁদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, এনএসআই’র ডিডি শাহ মোঃ আরমান আহমেদ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, বিশিষ্ট ছড়াকার ডা. পিযুষ কান্তি বড়ুয়া প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। পরে বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এরপরই দিনব্যাপি আয়োজিত জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে আয়োজিত বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। অনুষ্ঠানের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার ১০ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের সূচনা লগ্নে শতকন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়।
Post a Comment