কলেজ ছাত্রকে মারধর - থানায় অভিযোগ

 কচুয়ায় পূর্ব শত্রæতার জের ধরে বাজার থেকে ডেকে নিয়ে রিয়াদ নামের এক কলেজ ছাত্রকে বেধম প্রহার করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সন্ধ্যায় মাঝিগাছা বাজার সংলগ্ন একটি ঝোঁপে রিয়াদ মিঞাকে সুকৌশলে ডেকে নিয়ে হামলা ও মারধর করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত কলেজ ছাত্র রিয়াদ মিঞার বাবা হেলাল হোসেন মিঞা বাদী হয়ে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগে একই গ্রামের রবিন,পারভেজ ও নোমান বাবুর নাম উল্লেখসহ  ৩/৪জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। 

কলেজ ছাত্রকে মারধর - থানায় অভিযোগ


থানায় বাদীর দায়েরকৃত অভিযোগ ও স্থানীয় এলাকা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় মাঝিগাছা মিঞা বাড়ির হেলাল মিঞার ছেলে রিয়াদ মিঞা মাঝিগাছা জামালিয়া বাজারের স্বর্নব্যবসায়ী সঞ্জয় দাস (চরন) পাওনা  ৫১ হাজার টাকা নিয়ে বাজারে যায়। এসময় রিয়াদ তার এক বন্ধু টিটুর সেলুনে প্রবেশ করলে হামলকারীরা তাকে পূর্বদিকে খাল পাড়ের ঝোঁপে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে কিছু বুঝিয়ে উঠার আগেই রিয়াদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে । এসময় তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে হামলকারীরা পালিয়ে যায় এবং তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পাশ^বর্তী একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়। 

হামলার শিকার রিয়াদ মিয়া জানান, আমার বাবার কাছে পাওনা সঞ্জয় দাসের স্বর্ন বন্ধক বাবদ পাওনা টাকা পৌঁছে দিতে আমি ঘটনার দিন মাঝিগাছা  বাজারে যাই। এসময় পূর্ব শত্রæতার জের ধরে একই গ্রামের রবিন,পারভেজ ও নোমান বাবু’র নেতৃত্বে ৩/৪জন যুবক আমাকে মারধর করে হামলাকারীরা আমার সাথে থাকা নগদ টাকা ও ২টি স্মার্ট মোবাইল জোরপূর্বক নিয়ে যায় বলে সে দাবী করে এবং থানায় লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন। তবে সরেজমিনে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানতে তাদের পাওয়া যায়নি। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী বোরহান উদ্দিন হামলার সত্যতা শিকার করে জানান, মারধর করতে দেখেছি। টাকা ও মোবাইল নেয়ার বিষয়টি দেখিনি এবং জানি না।