চাঁদপুর শহরে ঈদের কেনাকাটার ধুম!

 কঠোর লকডাউনের কথা শুনেই মানুষজন হুমড়ি খেয়ে পড়ছে কেনাকাটার জন্য চাঁদপুর শহরের মার্কেট গুলোতে। চাঁদপুর শহরের মার্কেটগুলোতে যে হারে নারী-পুরুষ আর শিশুদের কেনা-কাটায় ধুম পড়েছে, তাতে মনে হয় ঈদের কেনা-কাটাকেও হার মানিয়েছে। এমন দৃশ্য দেখে মনে হবে, চাঁদপুর শহরের মানুষ যেনো করোনাকে জয় করে ফেলেছে। মানুষ করোনাকে ভুলে ঈদের কেনা-কাটা করতে ব্যস্ত। বৈশ্বিক করোনা মরণব্যাধি চাঁদপুর শহরকে দিন দিন গ্রাস করছে, সেদিকে কারো কোনো ভ্রæক্ষেপ নেই।

চাঁদপুর শহরে ঈদের কেনাকাটার ধুম!


চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে স্বাস্থ্যবিধি ও লকডাউন মানার তাগিদ দিলেও ব্যবসায়ী আর ক্রেতারা তা কর্ণপাত করছে না। তারা যেনো জেলা প্রশাসনের সাথে লুকোচুরি খেলা খেলছে। মাস্ক ব্যবহারে সরকারের কঠোর বিধি নিষেধ থাকলেও এ বিষয়ে জনসাধারনের মাঝে মাস্ক ব্যবহারের আগ্রহ তেমন একটা চোখে পড়েনি। 

বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, গতকাল ১২ এপ্রিল সোমবার সকাল থেকেই চাঁদপুর শহরের বাজারে ছিলো মার্কেট ও নিত্যপণ্যের বাজারগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। চাঁদপুর শহরের রেলওয়ে হকার্স মার্কেট, মীর শপিং সেন্টার, নিউ মার্কেট, প‚রবি শপিং কমপেলক্স, ফজলু ম্যানসন, সেবা সিটি সেন্টারসহ বিভিন্ন ডিপাটমেন্টাল স্টোর, বস্ত্র বিপণীগুলোতে ঠিক যেন ঈদের কেনা-কাটার মতো নারী ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো  ছিলো দিনভর সিএনজি, রিক্সা আর ব্যাটারি চালিত অটোবাইকের দখলে। 

শুধু শপিংমল গুলোতেই নয়, ভিড় ছিল মুদি, মনোহারী, বেকারী দোকানসহ অন্য সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও। শহরের কিছু খাবার হোটেলেও খোলা রেখে বেচা-বিক্রি করতে দেখা যায়। শহরের মিজানুর রহমান চৌধুরী সড়কে (কালী বাড়ি থেকে পাল বাজার ব্রিজ), জে.এম.সেনগুপ্ত রোড ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কে সারাক্ষণ ভ্রাম্যমান তরকারি আর ফল বিক্রেতাদের দখলে ছিলো।