জেলেদের মাঝে ভ্যান গাড়ি বিতরণ - বিষয়টি তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠণ

 চাঁদপুরে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উপলক্ষে নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে বিকল্প আয়বর্ধনমূলক কার্যক্রমের অংশহিসেবে উপকরণ বিতরণের জন্য আনা হয়েছিলে ২০টি ভ্যান গাড়ি। কিন্তু সঠিক যাচাই-বাছাই না থাকার কারণে নিবন্ধিত জেলে হলেও পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় থাকা ব্যক্তিদের মাঝে বিতরণ হয়ে যায় বেশ কয়েকটি ভ্যান গাড়ি। এরপরই সাংবাদিকদের দেয়া তথ্য জেনে বিতরণ বন্ধ হয়ে যায়। রক্ষা হয় সরকারি সম্পদ।

জেলেদের মাঝে ভ্যান গাড়ি বিতরণ - বিষয়টি তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠণ


গতকাল ৭ এপ্রিল বুধবার সকালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মুখে জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য বিভাগের বাস্তবায়নে জেলেদের মাঝে উপকরণ বিতরণকালে এ ঘটনা ঘটে।

করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্দিষ্ট সময়ে বেশ কয়েকটি ভ্যান গাড়ি বিতরণও করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। এ সময় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকীও।

অপেশাদার জেলেদের মাঝে ভ্যান গাড়ি বিতরণের বিষয়টি উপস্থিত সকলে অবাক হন। জেলা মৎস্য বিভাগের এমন কাÐে দায়িত্বশীলতার অভাব রয়েছে বুঝতে পেরে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ভ্যান গাড়ি বিতরণ বন্ধ এবং যেগুলো বিতরণ হয়েছে সেগুলো ফেরৎ আনার জন্য তাৎক্ষনিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

এদিকে কী কারনে অপেশাদার লোকদের হাতে জেলেদের উপকরণ বিতরণ হয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। তদন্ত কমিটির আহবায়ক চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ ও সদস্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মাহমুদ ডালিম ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ জামিল উদ্দিন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকি উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে বলেন, নিবন্ধিত জেলেদের এ তালিকাটি আগের। যার কারনে অপেশাদার লোক থাকতে পারে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যে সব ব্যক্তিদের জেলে হিসেবে আনা হয়েছে ভ্যান গাড়ি দেয়ার জন্য, তারা কেউ মৎস্য আড়তের কর্মচারী, কেউ সমিতির কর্মচারী। এভাবে বিগত দিনেও সঠিক তদন্ত না থাকার কারণে প্রকৃত জেলেরা বাদ পড়ে আসছে, সরকারি সুবিধা থেকে। জেলে তালিকা তৈরি করার সময় দায়িত্বশীলতার অভাব ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় এক শ্রেণির জনপ্রনিধি এবং মৎস্যজীবী নেতৃবৃন্দ। ভোটের জন্য অপেশাদার লোকদেরকেও জেলে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন। অপেশাদার জেলেদের সুবিধা গ্রহন নিয়ে চাঁদপুরের গণমাধ্যমে এমন সংবাদ বহুবার প্রকাশিত হয়েছে। বিশেষ করে জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণ সময়ে এ ধরণের তথ্য বেরিয়ে আসে।