নার্সারি করে সফলতার মুখ দেখলেন হাজীগঞ্জের রুবেল গাজী

 নার্সারি করে সফলতার মুখ দেখলেন হাজীগঞ্জের আঃ রহমান রুবেল গাজী। তিনি হাজীগঞ্জের ৭নং বড়ক‚ল পশ্চিম ইউনিয়নের নাটেহারা গাজী বাড়ীর আমির গাজীর ছেলে। চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের খাটরা বিলওয়াইতে গাজী নার্সারি গড়ে তোলেন আব্দুর রহমান।

নার্সারি করে সফলতার মুখ দেখলেন হাজীগঞ্জের রুবেল গাজী


রাজনীতির পাশাপাশি নার্সারি পেশাকে আয়ের একমাত্র উৎস হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। বন্ধু ও স্বজনদের কাছ থেকে টাকা ধার করে ২০১৭ সালে গাজী নার্সারি নামে ছোট্ট পরিসরে কাজ শুরু করেন রুবেল।

প্রথমে কিছু বনজ ও ফলদ চারা দিয়ে তার নার্সারির যাত্রা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে চলতে থাকে তার এ নার্সারি ব্যবসা। এক বন্ধুর পরামর্শে প্রশিক্ষণ নিয়ে নার্সারি করার আগ্রহ জন্মে তার। দেশের রাজশাহী, বগুড়া,বরিশালসসহ বিভিন্ন স্থান থেকে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের চারা ও কলম সংগ্রহ করে তার এ নার্সারিতে। মাত্র পাঁচ বছরেই এ নার্সারি ব্যবসায় সফলতার মুখ দেখতে পাওয়ায় এখন তিনি লাখপতি। বর্তমানে গাজী নার্সারিতে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রয়েছে। তার এ নার্সারি ব্যবসার সফলতা দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক অনুপ্রাণিত হচ্ছেন এ কাজে।

আব্দুর রহমান রুবেল জানান, বর্তমানে তার প্রায় ২০ শতক জমিতে নার্সারি রয়েছে। এবছর বিভিন্ন বনজ, ফলদ, ঔষধি ও ফুলের চারা করেছেন। এর মধ্যে এবছর তিনি তার নার্সারিতে বিভিন্ন জাতের বনজ চারা ছাড়াও দেশি-বিদেশি জাতের আম, জাম, কাঠাল, পেয়ারা, বেদানা, কমলা, আমড়া, শরুফা, লেবু, জাম্বুরা, সফেদা, মাল্টা, বড়ই, কামরাঙ্গা, মিষ্টি তেতুল, চালতা, লিচু, বেল, লটকনসহ প্রায় দেড় শ জাতের চারা রয়েছে। 

আমের জাতের মধ্যে হাঁড়িভাঙা, ল্যাঙড়া, আম্রæপালি, হিম সাগর, গুটি, ফজলি, গৌরমতি, কাঠিমণ, বারি-৪, বেনানা ম্যাঙ্গো সহ প্রায় ২৫টি জাতের চারা রয়েছে। এছাড়া এখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ঔষধি গাছও। 

হাজীগঞ্জ বাজারসহ জেলার দূর দূরান্তের পাইকাররা এসে এখান থেকে চারা কিনে নিয়ে যান । দূরে অনলাইনের মাধ্যমে তিনি চারা বিক্রি করে থাকেন। 

তিনি আরো জানান, চলতি মৌসুমে সুপারি, নারিকেল, আম ও মাল্টার চারা বিক্রি হচ্ছে। এবছর তিনি এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৩ লাখ টাকার বেশি চারা বিক্রি করেছেন। আরো প্রায় ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার চারা চলতি মৌসুমে বিক্রি হবে বলে তিনি আশাবাদী। তার এখানে বাবা আমির গাজীসহ ২/৩ জন লোক নিয়মিত কাজ করেন।

এদিকে আসছে বর্ষার শুরুতে মানুষ বাড়ীর আঙ্গিনা, বাগান, চাদের টবে গাছের চারা ক্রয়ের জন্য এখানে এসে ভিড় জমাতে দেখা যায়।