প্রতিবন্ধী ইয়াছিন মিয়ার স্বপ্ন পূরণে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ষোলদানা এলাকার বাসিন্দা শারীরিক প্রতিবন্ধী ইয়াসিন মিয়া। শারীরিক ও আর্থিক দুরাবস্থার কারণে স্বাভাবিকভাবে উপার্জনে অক্ষম হওয়ায় পরিবার নিয়ে খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করতেন।

প্রতিবন্ধী ইয়াছিন মিয়ার স্বপ্ন পূরণে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক


তিনি বিভিন্ন মানুষের কাছে শুনেছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক গরীর-দুখী মানুষের কথা শোনেন, তাদের পাশে দাঁড়ান। তাই একদিন সাহস করে জেলা প্রশাসকের অফিসিয়াল মোবাইলে ফোন দেন। তিনি ভাবতে পারেননি তার মতো গরীবের কথা জেলা প্রশাসক মন দিয়ে শুনবেন।

ইয়াসিন তার দুরাবস্থার কথা সবিস্তারে তুলে ধরেন। তিনি বলেন আমি প্রতিবন্ধী, আমি ভিক্ষা করে খেতে পারতাম, কিন্তু আমি নিজে রোজগার করে খেতে চাই।

বাজারে সরকারি জায়গায় আমার ছোট একটা অস্থায়ী দোকান আছে, আমি বন্দোবস্ত পেয়েছি, কিন্তু এখন আমাকে স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন তুলে দিচ্ছে। আমাকে আপনি যদি সহায়তা না করেন, আমার মতো অসহায়ের বাকি জীবন ভিক্ষা করেই খেতে হবে। তারপরই বদলে যায় দৃশ্যপট। জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ দোকানঘর উচ্ছেদ বন্ধ করে দিয়ে উচ্ছেদকারীদের হুশিয়ারী দেন, যাতে ভবিষ্যতে শক্তিহীন ব্যক্তির সাথে অন্যায়ভাবে শক্তি প্রদর্শন না করা হয়।

ইয়াছিন মিয়ার দুরাবস্থা লাঘবে তাকে অস্থায়ীভিত্তিতে বন্দোবস্তকৃত দোকানঘরটি মেরামতে সাহায্য করেন। দোকানে নতুন মালামাল তোলার জন্য নগদ অর্থসাহায্য প্রদান করেন।

অবশেষে ২৪ আগস্ট মঙ্গলবার সেই ইয়াসমিন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তার দোকানঘরের ছবি তুলে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশকে দেখাতে আসেন। জেলা প্রশাসক তাকে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা দেন। এভাবেই চাঁদপুরে যোগদানের পরে প্রশংসনীয় এবং মানবীয় কাজ অব্যাহত রেখেছেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।