পাট শুকিয়ে বিক্রি করতে না পেরে হতাশ চাঁদপুরের কৃষক

নদী বেষ্টিত জেলা চাঁদপুরে কৃষি আবাদের জন্য জমিগুলো খুবই উর্বর। তবে জমিতে পানি কম থাকায় এ বছর পাটের ফলন কিছুটা কম হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারনে অনেক কৃষক পাট শুকিয়ে বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়েছে এখানকার কৃষকরা। প্রতি বছরই পাট আবাদ করে লোকসান হওয়ার কারনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে কৃষক। এ ধারা অব্যাহত থাকলে পাট আবাদ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। কৃষি বিভাগেরও সঠিক তত্ত¡াবধান নেই বলে অভিযোগ পাট চাষিদের

পাট শুকিয়ে বিক্রি করতে না পেরে হতাশ চাঁদপুরের কৃষক


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সোনালী আঁশ খ্যাত পাট আবাদে এক সময় চাঁদপুর জেলার অবস্থান ছিল প্রথম সারিতে। সবচেয়ে বেশি আবাদ হয় জেলা সদর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলায়। যার মধ্যে দেশী, তোষা, কেনাফ ও মেস্তা জাতের পাট রয়েছে। জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছর জেলায় পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৪ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে। যা আগের বছরের তুলনায় ২শ’ হেক্টর কম।

মৌসুমের এ সময়ে কৃষকরা শেষে আবাদকৃত পাট কাটা, আঁশ ছাড়ানো, পানিতে পরিষ্কার করা, রোদে শুকানো ও বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আবার অনেকেই ইতোমধ্যে পাট শুকিয়ে বাড়িতে এবং নিরাপদ স্থানে স্তুপ করে রেখেছে। এসব কাজেই এখন তাদের ব্যস্ত সময় পার হচ্ছে। পাট আবাদে যে পরিমান খরচ হয় এবং সঠিক মূল্য না পাওয়ার আশঙ্কা কৃষকদের।

কৃষকরা জানায়, পাটের মৌসুমে এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ার কারনে ফলন কম হয়েছে। প্রতিমণ পাট উৎপাদনে খরচ হয় ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারনে ৪ হাজার থেকে নেমে প্রতিমণ পাটের দাম হয়েছে ২ হাজার টাকা। প্রতিবছর এভাবে লোকসান দিয়ে পাট আবাদ করা সম্ভব নয়। কৃষকদের এ দুরবস্থার খোঁজ খবর নিচ্ছে না কৃষি বিভাগ।

চাঁদপুর জেলা কৃষি কর্মকর্তাজালাল উদ্দিন বলেন, চাঁদপুর জেলায় এ বছর ৪১০৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। পাট কাটা ইতোমধ্যে শেষ পর্যায়ে। পাটের ফলন মোটামুটি ভালোই হয়েছে। তবে লকডাউনের কারণে পাট বাজারজাত করণে কিছুটা সমস্যা আছে। কৃষকদের খোঁজ-খবর নেয়ার বিষয়ে যে অভিযোগ তা অনেক ক্ষেত্রে সঠিক হতে পারে, কারণ আমাদের মাঠ পর্যায়ের অনেক জনবল সংকট রয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করি কৃষকদেরকে সঠিক পরামর্শ দেয়ার জন্য।