নারায়ণপুরে জাহিদ খানের বিরুদ্ধে দোকানঘর দখলের অভিযোগ

 মতলবে যুবলীগ কর্মী জাহিদ খান বাবু গংয়ের বিরুদ্ধে লুটপাট ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মতলব দক্ষিণের সারপাড় গ্রামের তাহের খানের ছেলে যুবলীগ কর্মী  জাহিদ খান বাবু গংয়ের বিরুদ্ধে গুদামঘরের তালা ভেঙ্গে মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট করে প্রায় ৭০ লাখ টাকার মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে। 

নারায়ণপুরে জাহিদ খানের বিরুদ্ধে দোকানঘর দখলের অভিযোগ


ভুক্তভোগী মতলব দক্ষিণের সারপাড় গ্রামের কারুল এহসানের স্ত্রী জাতীয় পর্যায়ের খ্যাতিমান লেন্ডস্কেপ নির্মাতা রোটারিয়ান রাফেয়া আবেদীন জানান, আমি বর্তমানে মতলব দক্ষিণের বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস করি। ব্যক্তিগত জীবনে আমি একজন ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী। ব্যবসায়ীক কাজে মাঝে মাঝে ঢাকায় চলে আসি। ২৫ মে রোটারী ক্লাব অব ঢাকার প্রোগ্রামে আমি পাবনায় আসি। এ সুযোগে যুবলীগ কর্মী জাহিদ খান বাবু গং ২৬ মে রাতে আমার ৩টি দোকানঘরের তালা ভেঙ্গে ডেকোরেশনের মালমাল সেগুন কাঠের আসবাবপত্র বিপুল পরিমাণ টাইলস জানালার গ্রীল এলুমিনিয়ামের থাই টেমপার গøাস বিপুল পরিমাণ সেগুন কাঠ টিন, সেগুন কাঠের দরজা, সেগুন কাঠের চেয়ার, এলুমিনিয়াম জানালা, আমার কাজের বিপুর পরিমান ইনস্টুরুমেন্টসহ প্রায় ৭০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার আগে গুদামঘরে নারায়নপুর পৌর আওয়ামী যুবলীগের প্রধান কার্যালয় লিখিত একটি ব্যানার টানিয়ে নতুন তালা লাগিয়ে দিয়ে যায়।

পরের দিন ২৭ মে তারা আবারোও ২ টি গুদামের মালামাল লুট করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে জাহিদ খান বাবু গং ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়। পুলিশ চলে গেলে আবারো লুট করে।  আমার কর্মাচারীরা বাধা দিতে গেলে তাদেরকে হুমকি-ধামকী দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। তিনি আরো বলেন, এর আগে তারা আমার বাড়িতে ঢুকে লুটপাট করে।

এ বিষয় নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। জমিজমা ভাগবাটোয়ারার কথা বলে এ ধরনের লুটপাট জনমনে ভীতির সঞ্চার করছে।অনেকের বক্তব্য এ ধরনের ঘটনায় সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট হচ্ছে। ঠিক কি কারনে মতলব থানা দক্ষিণ পুলিশ এখনো লুটপাটের মামলা হিসেবে গ্রহন করেনি, তা জানা যায়নি। তবে জেলা পুলিশ সুপার বলেন, আমরা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছি। অভিযুক্ত জাহিদ খান বাবু বলেন, লুটতরাজের ঘটনা ঘটেনি। আমার দখলের জায়গায় আমি আছি।